রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
জাকারিয়া হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ অদ্য ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার ইপিজেড থানা দিন এরিয়ায় সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ( ট্রাফিক) বন্দর বিভাগের আয়োজনে, সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে পরিবহন সেক্টরের শৃঙ্খলা রক্ষা ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক বন্দর বিভাগ ) জনাব, মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ইপিজেড ট্রাফিক ইনচার্জ ( টিআই) কামরুজ্জামান রাজ এর সঞ্চালনায় এ সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার( ট্রাফিক বন্দর বিভাগ) জনাব রাশেদুল, ট্রাফিক বন্দর বিভাগ এডমিন ( টি আই ) জনাব আমির ফারুক।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে মহাসচিব জনাব মোহাম্মদ আকরাম শেখ, আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা লাইন সহকারী জনাব মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য বৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহকারে পরিবহন সেক্টরের ড্রাইভার হেল্পার শ্রমিক এবং মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
এ সময় উপস্থিত পরিবহন শ্রমিক তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা এখানে উন্মুক্তভাবে তুলে ধরেন, এবং আরো বলেন যে, এখানকার ট্রাফিক ইনচার্জ ( টিআই) কামরুজ্জামান রাজ এর কাছে যে কোনো সমস্যার জন্য গেলে তিনি তাহা দ্রুত আইনি পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন, এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক বন্দর বিভাগ) জনাব রাশেদুল তার বক্তব্যই বলেন, আজকে আমাদের এ অনুষ্ঠান হল সচেতনতামূলক কিন্তু প্রশিক্ষণ নয়, প্রশিক্ষণ হলো আমরা কোন বিষয়ে জানিনা সেটা আমাদের জানানো কিংবা শিখানো এটা হল প্রশিক্ষণ আর সচেতনতা হলো আমরা সবাই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানি কিন্তু মানি না, সে বিষয়ে সচেতন হওয়া, তাই আপনারা যেহেতু ট্রাফিক আইন জানেন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মানেন না ওই বিষয়েই আজকে আমরা সচেতনতামূলক আলোচনা করব, আপনি ট্রাফিক যে আইন যে নিয়ম জানেন সেগুলো অবশ্যই মেনে গাড়ি চালাতে হবে ট্রাফিক আইন মানতে হবে, কোন দুর্ঘটনা আমাদের কাম্য নয় আমরা খবরের কাগজে প্রতিদিন দেখি কোন না কোন দুর্ঘটনার কথা, একটি দুর্ঘটনা যার পরিবারে হয়, সেই পরিবারটি বুঝে তার যন্ত্রণা, এটা যদি আপনার আমার পরিবারে হতো তখন আমরাও হয়তো এই যন্ত্রণাটা বুঝতে পারতাম, পরিশেষের সকল পরিবহন শ্রমিকদের সকল ট্রাফিক আইন মেনে সচেতনমূলকভাবে গাড়ি চালানোর আহ্বান করেন।
এ সচেতনতামূলক সভায় সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনায় ট্রাফিক বন্দর বিভাগের পুলিশ কমিশনার জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সবাই মানুষ আমাদের মধ্য পার্থক্য কর্মের, আপনি নিজেকে যতোটুকু প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন ততটুকু নিজের যোগ্যতা অনুসারে কর্মের ব্যবস্থা হয়েছে, তাই হয়তো আজকে আপনার শ্রমিক আমি আপনাদের সামনে একজন পুলিশ কিন্তু আমরা সবাই মানুষ, আমরা সকালে যখন ঘর থেকে বের হই আপনি আমার সবার একটাই স্বপ্ন থাকে সারাদিন কর্ম করে সন্ধ্যায় আমরা পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাবো, আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকে আমাদের সন্তান, স্ত্রী, মা বাবা আত্মীয়-স্বজন, কিন্তু সেই আমি যদি একটি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে যাই, তখন তাদের অবস্থা কি হবে, যারা আপনি আমার ইনকামের উপর ভরসা করে অপেক্ষায় থাকে, দিনশেষে পুরো পরিবারটি নিঃস্ব। তাই আমাদের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই, তিনি বলেন ট্রাফিকের কিছু আইন আছে সে আইনগুলো বাস্তবায়ন করতেই ট্রাফিক পুলিশ এবং আপনাদের সচেতন মূলকভাবে মানতে হবে তখনই সঠিকভাবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব, তিনি বলেন আপনি ট্রাফিক আইন মেনে সচেতন ভাবে গাড়ি চালালে যেভাবে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব তেমনি অনেক ক্ষেত্রে আপনার সরকারি জরিমানা অর্থ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব, আপনি যখনই ভুল করবেন ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালাবেন না, তখন আপনি মামলার শিকার হবেন, সেজন্য অর্থ জরিমানা দিতে হবে এটাও তো আপনার জন্য ক্ষতিকর।
তাই সকলকে অবশ্যই যথাযথভাবে ট্রাফিক আইন মেনে সচেতন ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য আহ্বান করেন এবং ট্রাফিক সিগন্যাল মুলক চিহ্ন প্রতীক উপস্থিত সকল পরিবহন ড্রাইভার হেলপারদের মাঝে দেখিয়ে তাদের বুঝিয়ে সচেতন করেন।
পরিশেষে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং এ সচেতনতামূলক আলোচনা সভা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিকের চলমান থাকবে বলে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।